নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
যশোরের কায়েমখোলায় 'সুফিয়া ডেন্টাল' নামে একটি ঝাঁ-চকচকে চেম্বার খুলে নিজেকে চিকিৎসক দাবি করছেন তাজবিদুর রহমান ময়না। কখনো এলোপ্যাথিক, কখনো ডেন্টাল আবার কখনো পলিপাস সার্জনের রূপ ধরে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন বছরের পর বছর। অথচ তার নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট কিংবা অনুমোদন।
সূত্র জানায়, এক সময় গ্রামে হাতুড়ি ডাক্তার হিসেবে পরিচিত ছিলেন ময়না। সুন্নাতে খতনার কাজ করতেন পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে। হঠাৎ নিজেকে ‘দন্ত বিশেষজ্ঞ’ পরিচয় দিয়ে কায়েমখোলায় বসে পড়েন ব্যক্তিগত চেম্বার নিয়ে। সময়ের ব্যবধানে শুরু করেন সর্বপ্রকার রোগের চিকিৎসা। এমনকি চালাচ্ছেন রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও পলিপাসের অপচিকিৎসাও। অথচ প্রতিষ্ঠানটির নেই কোনো বৈধ অনুমোদন বা প্রশিক্ষিত কর্মী।
সরেজমিনে দেখা যায়, নামের আগে ‘চিকিৎসক’ লিখে বড় বড় সাইনবোর্ডে সেবা প্রদানের তালিকা ঝুলিয়ে রেখেছেন তিনি। বলছেন, এখানে মুসলমানি, পলিপাস চিকিৎসা, এমনকি রক্ত পরীক্ষা পর্যন্ত হয়। অথচ নিজ মুখেই স্বীকার করেছেন, “আমার কোনো কাগজপত্র নাই, অভিজ্ঞতা থেকে রোগী দেখি।”
স্থানীয়রা বলছেন, ময়না মূলত আন্ডার মেট্রিক। আগে ছিলেন হাতুড়ি ডাক্তার। এখন চেম্বার গড়ে গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের বিভ্রান্ত করছেন। লাখ টাকার যন্ত্রপাতি বসালেও সেগুলো চালানোর যোগ্যতা তার নেই।
স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী, এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ‘ডাক্তার’ শব্দ ব্যবহার করতে পারে না। এমনকি ডায়াগনস্টিক বা কোনো পরীক্ষা করতে হলে যথাযথ অনুমতি ও প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ান থাকা বাধ্যতামূলক।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুদ রানা জানিয়েছেন, “এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
যশোর জার্নাল
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ আসিফ আকবর সেতু।
(যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি, যশোর)
মোবাইলঃ +৮৮ ০৯৬৯৬০৭০৩৯১
Gmail: jashorejournal@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত