নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
সদর হাসপাতালে এইচআইভি আক্রান্তদের জন্য সংরক্ষিত ওষুধ চুরি হয়ে ব্যক্তিগত বাসায় পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে এ সংক্রান্ত একটি ঘটনা ফাঁস হয়, যখন মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মী ১২ কার্টন ওষুধ বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের এক কর্মচারী ‘নীল’-এর বাসায় ওষুধ পাঠানো হচ্ছিল। অভিযোগ উঠেছে, এই কার্যক্রমে এইচআইভি প্রজেক্টের আওতায় কর্মরত আউটরিচ কর্মকর্তা আবু আলী জাবেদ ও রেক্সোনা বেগমের সম্পৃক্ততা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই একটি চক্র হাসপাতালের ওষুধ স্টোর থেকে মূল্যবান ও সংরক্ষিত মেডিসিন বাইরে পাচার করে আসছে বলে জানা গেছে।
হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, এই চুরির ঘটনা একদিনের নয়—দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে বদলির হুমকি দেওয়া হয়। আর যারা এসব বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দায়িত্বে রয়েছেন, তারা বিষয়টি এড়িয়ে চলছেন।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়েত জানান, “আমি পূর্বে বিষয়টি জানতাম না। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্তে কারো দোষ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন– আরএমও ডা. বজলুর রশিদ টুলু, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শরিফুল ইসলাম ও ওয়ার্ড মাস্টার ওবায়দুল ইসলাম। কমিটিকে ছয় কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় স্বাস্থ্যসচেতন নাগরিকরা বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, এইচআইভি রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত জীবনরক্ষাকারী ওষুধ চুরি করে খোলা বাজারে বিক্রি করা শুধুমাত্র বেআইনি নয়, এটি মানবতার বিরুদ্ধেও এক জঘন্য অপরাধ। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
সচেতন মহলের অভিমত, স্বাস্থ্যখাতের এই অনিয়ম বন্ধে প্রশাসনের দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন কাজ করতে সাহস না পায়।
যশোর জার্নাল
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ আসিফ আকবর সেতু।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক:বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি, যশোর (সাবেক)
মোবাইলঃ +৮৮ ০৯৬৯৬০৭০৩৯১
Gmail: jashorejournal@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত