
ডেস্ক রিপোর্ট :
তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কবে—এই প্রশ্ন ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা চলছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন প্রায় দুই সপ্তাহ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শারীরিক অবস্থা এখনও ঝুঁকিপূর্ণ। এ অবস্থায় বিএনপি নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ তার সুস্থতা কামনা করছেন এবং হাসপাতালে ভিড় করছেন।
এমন সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে অবস্থান করছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং কিছু মহলে প্রশ্ন উঠেছে—অসুস্থ মায়ের পাশে তিনি কেন ফিরছেন না। এ নিয়ে বিভিন্ন ব্যাখ্যা ও মন্তব্যও দেখা যাচ্ছে।
তবে দলের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, লন্ডনে বসেই তারেক রহমান ও তার স্ত্রী চিকিৎসক ডা. জুবাইদা রহমান খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত আছেন। ঢাকার মেডিকেল টিমের পাশাপাশি বিদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ করছেন তারা। খালেদা জিয়ার পূর্ববর্তী পূর্ণ মেডিকেল রেকর্ড যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকেও রাখা আছে, যেখান থেকে বিশেষজ্ঞরা অনলাইনে চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ দিচ্ছেন।
চিকিৎসকদের একাধিক দলের সঙ্গে সমন্বয়, বিদেশি বিশেষজ্ঞদের মতামত এবং উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করাকেই এখন অগ্রাধিকার হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিএনপির একাধিক সূত্রের ভাষ্য—এই ধাপে তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসা মূল বিষয় নয়; বরং চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার সঠিক অগ্রগতি নিশ্চিত করাই গুরুত্বপূর্ণ।
দলীয় নেতাদের মতে, তারেক রহমান দেশে ফিরলে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়তে পারে এবং হাসপাতালের পরিবেশে ভিড় সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে চিকিৎসা প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে বলেই তারা মনে করছেন।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তারেক রহমান নিজেও বলেন, দেশে ফেরা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে সীমাবদ্ধ নয়; এটি রাজনৈতিক ও পারিবারিক আলোচনার বিষয়।
কবে তিনি দেশে ফিরবেন—এ প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর মেলেনি। তবে বিএনপির ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলি বলছে, চিকিৎসকদের মূল্যায়ন ও পরিস্থিতি বিবেচনায়, উপযুক্ত সময়েই সিদ্ধান্ত নেবেন তারেক রহমান ও তার পরিবার।
তথ্য সুত্র: দৈনিক ইত্তেফাক