
ডেস্ক রিপোর্ট:
শরীয়তপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বি এম মোজাম্মেল হককে আওয়ামী লীগের এক কর্মীর দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঢাকার একটি আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দিন এ আদেশ দেন। সকালেই তাঁকে সিএমএম আদালতে আনা হয়। পরে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরিয়ে নবম তলায় আদালতে নেওয়া হয়। শুনানির সময় তাঁর হাতকড়া খোলা হয়নি।
শুনানিতে বাদীপক্ষ গ্রেপ্তারের আবেদন উপস্থাপন করলে আদালত তা গ্রহণ করেন। এরপর আসামিপক্ষ জামিনের আবেদন করলেও তা নাকচ করা হয়।
আসামিপক্ষ অভিযোগ করে, মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা রাজনৈতিক বিবাদের কারণে করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, একই দলের দুই কর্মীর মধ্যে কমিটির পদ নিয়ে বিরোধের জেরেই অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাঁরা আরও জানান, দীর্ঘদিনের রাজনীতিক মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে আগে কখনো দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি এবং তিনি বর্তমানে অসুস্থ।
মামলার বাদী মো. খলিলুর রহমান, যিনি অক্সাইড–বেজ ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক। তাঁর অভিযোগ, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ধানমন্ডির একটি অফিসে ডেকে নিয়ে সাবেক এমপি তাঁর কাছে ২৫ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন। টাকা না দিলে গুমের হুমকিও দেওয়া হয় বলে এজাহারে উল্লেখ রয়েছে। সেই সময় ব্যবসায়িক সমিতির কাছে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তাঁর ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা হয়েছে বলেও দাবি করেন খলিলুর।
গত ৫ অক্টোবর রাজধানীর নিকেতন এলাকা থেকে মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলাসহ আরও কয়েকটি মামলা থাকার তথ্য আগেই জানিয়েছিল ডিএমপি।