মেহেদী হাসান নয়ন,মনিরামপুরঃ
মনিরামপুর থানার এ এস আই শহিদুল ইসলাম সম্প্রতি তাঁর ফেসবুক পেজে ট্যাপেনটাডোল ট্যাবলেট সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এটি একটি ব্যাথা নাশক ঔষধ যা আমাদের প্রতিবেশী দেশ থেকে আমদানি করা হয়। এই ট্যাবলেটে এ্যালকোহলের উপস্থিতি রয়েছে, যা বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বিপজ্জনকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
তিনি সতর্ক করেছেন যে, ফেন্সিডিলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক তরুণ এ ট্যাবলেটকে বিকল্প হিসাবে গ্রহণ করছে। মনিরামপুরের কিছু অসাধু ফার্মেসী ব্যবসায়ী এ ট্যাবলেটকে অল্প দামে ক্রয় করে বেশি দামে বিক্রি করে অধিক মুনাফা লাভের চেষ্টা করছে, যা সমাজের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, অভয়নগরে চাকরির সময় তিনি একটি ফার্মেসী ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছিলেন, কিন্তু আইনের জটিলতার কারণে সে মাত্র দুই দিনে জামিনে মুক্ত হয়ে যায়। এ বিষয়ে তিনি অত্যন্ত হতাশ প্রকাশ করেছেন।
এক চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করে তিনি জেনেছেন, নিয়মিত ট্যাপেনটাডোল গ্রহণ করলে দুই বছরের মধ্যে কিডনি বা লিভার ড্যামেজের মতো গুরুতর সমস্যা হতে পারে।
এ এস আই শহিদুল ইসলাম সমাজের সকলের প্রতি একটি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এই মাদককে সামাজিকভাবে প্রতিহত করা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। তিনি মনে করেন, আইনগত জটিলতা থাকলেও আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
মনিরামপুরবাসীকে মাদকসেবনের বিরুদ্ধে সচেতন থাকতে এবং তরুণ প্রজন্মকে নিরাপদ রাখতে একযোগে কাজ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ এস আই শহিদুল ইসলামের এমন মহৎ উদ্যোগ নেওয়ার কারণে মনিরামপুরের সর্বস্তরের জনগণের প্রশংসাই ভাসছেন তিনি।