যশোর জার্নাল ডেস্ক রিপোর্টঃ
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও তাঁর পরিবারের সাত সদস্যের নামে থাকা ২২টি কোম্পানির শেয়ার ও ৭০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
জানা গেছে, এসব কোম্পানিতে তাঁদের নামে মোট ৭৫ কোটিরও বেশি শেয়ার রয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা তাঁদের ১৯ কোটি টাকার বেশি অর্থ এবং ১০ হাজার মার্কিন ডলারেরও বেশি জব্দ করা হয়েছে।
দুদকের মতে, এসব সম্পদ গোপনে হস্তান্তরের প্রচেষ্টা চলছিল, যা তদন্ত ও ভবিষ্যৎ মামলার প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে।
শেয়ার জব্দ হওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের বিভিন্ন শাখা, যেমন বসুন্ধরা পেপার মিলস, মেঘনা সিমেন্ট, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া, বসুন্ধরা এলপি গ্যাস, স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, মাল্টিপেপার, গ্লাস, ফুড অ্যান্ড বেভারেজসহ আরও একাধিক কোম্পানি।
দুদক জানায়, ১৯৯৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়কালে এসব ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে প্রায় ২ হাজার ৭৫ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছে।
এর আগে, ফেব্রুয়ারিতে সায়েম সোবহান আনভীরসহ পরিবারের সদস্যদের বিদেশি সম্পদ ও ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। ওই আদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাত, স্লোভাকিয়া, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশে তাঁদের নামে থাকা ফ্ল্যাট, শেয়ার ও বিনিয়োগ জব্দ করা হয়।
দুদক দাবি করেছে, বসুন্ধরা পরিবারের সদস্যরা বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণের জন্য বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। সায়েম সোবহান আনভীর ও তাঁর স্ত্রী যথাক্রমে স্লোভাকিয়া ও সাইপ্রাসের নাগরিকত্ব নিয়েছেন, আর আহমেদ আকবর সোবহান ও তাঁর স্ত্রী নাগরিকত্ব নিয়েছেন সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসে।
তদন্তে উঠে এসেছে, তাঁদের বিনিয়োগ রয়েছে সুইজারল্যান্ড, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ আরও কিছু দেশে। এ ছাড়া হাবিব ব্যাংক (UAE) ও ইউরো ব্যাংক (Cyprus)-এ তাঁদের লেনদেনের তথ্যও মিলেছে।
এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে তাঁদের দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত।