নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
রূপদিয়া বাজারের ‘নিরাময় ক্লিনিক’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানে কথিত চিকিৎসকের হাতে অপচিকিৎসার শিকার হয়েছেন সমীর দাস নামে এক দরিদ্র টায়ারের দোকান কর্মচারী। বিষয়টি নিয়ে সিভিল সার্জন যশোরের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সমীর দাস, পিতা অনন্ত দাস, সাং চাউলিয়া, যশোর—একটি টায়ারের দোকানে দৈনিক ৩০০-৪০০ টাকা আয় করেন। গত ২৪ মে দোকানে কাজ করার সময় দুর্ঘটনায় তার গোপনাঙ্গে মারাত্মক আঘাত লাগে। পরে তিনি চিকিৎসার জন্য রূপদিয়ার ‘নিরাময় ক্লিনিক’ এ যান, যেখানে রমিজ উদ্দিন রানা নামের এক ব্যক্তি নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে তার সার্জারি করেন।
তবে অস্ত্রোপচারের একদিন পরেই আক্রান্ত স্থানে রক্তপাত শুরু হয়। পরিস্থিতির অবনতি হলে তিনি আবার নিরাময় ক্লিনিকে গেলে জানতে পারেন অভিযুক্ত রমিজ উদ্দিন রানা আদতে কোনো এমবিবিএস ডাক্তার নন, তিনি একজন মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট।
এ ঘটনায় প্রতারিত এবং শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বর্তমানে সমীর দাস যশোর শহরের নোভা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগী সমীর দাস সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগে উক্ত রমিজ উদ্দিন রানার বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
তিনি অভিযোগপত্রে বলেন, “আমার জীবনের ঝুঁকি নিয়েছে একজন ভুয়া চিকিৎসক। তার অপচিকিৎসায় আমি এখন হাসপাতালে। আমি চাই প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক, যেন এমনটা আর কারও সঙ্গে না ঘটে।”
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করছেন এলাকাবাসী।