স্টাফ রিপোর্টার মনিরামপুরঃ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনে বিএনপি জোরালো প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রার্থী বাছাইয়ে দলটির হাইকমান্ড সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে একাধিক জরিপও সম্পন্ন হয়েছে। এসব জরিপে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন দলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতা, মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও প্রবীণ আইনজীবী আলহাজ্ব এডভোকেট শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৩ জুন লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়, রাজনৈতিক কৌশল ও প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। সে লক্ষ্যেই বিএনপি এখন মাঠে নেমে পড়েছে।
দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তিনটি মূল মানদণ্ডকে সামনে রেখে প্রার্থী বাছাই করা হচ্ছে:
১. ত্যাগ ও সংগ্রাম: দলের সংকটময় সময়ে যাঁরা সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন, আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় থেকেছেন।
২. সততা ও সুনাম: প্রার্থীকে হতে হবে একজন সৎ, চরিত্রবান ও জনসমাজে সুপরিচিত ব্যক্তি।
৩. জনসম্পৃক্ততা ও জনপ্রিয়তা: এলাকায় যাঁদের গণভিত্তি রয়েছে এবং যাঁরা জনগণের আস্থাভাজন।
এই তিনটি মানদণ্ডেই এগিয়ে রয়েছেন এডভোকেট শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন। তিনি শুধু একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী নন, বরং দলের দুঃসময়ে মাঠে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বারবার বাধা-বিপত্তি ও রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হওয়া সত্ত্বেও তিনি কখনোই পিছু হটেননি। আওয়ামী লীগ শাসনামলে তার নিজ হাতে প্রতিষ্ঠিত মনিরামপুর বাজারস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়টি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য একাধিকবার চাপ সৃষ্টি করা হলেও, তিনি সাহসিকতার সঙ্গে তা খোলা রেখেছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য সেই কার্যালয় ছিল আশ্রয়স্থল ও প্রতিরোধের প্রতীক।
এছাড়াও বিএনপির বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁর সাহসী ভূমিকা নেতাকর্মীদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যক্তিজীবনেও তিনি একজন সৎ, শান্ত ও জনপ্রিয় মানুষ হিসেবে পরিচিত।
এদিকে, বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশায় অনেকেই এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন। তবে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেনের পক্ষে ব্যাপক সমর্থন রয়েছে বলে দলীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে। তাঁর প্রার্থিতা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে।
বিএনপি সূত্র বলছে, যশোর-৫ আসনটি আগামী নির্বাচনে পুনরুদ্ধার করতে চায় দলটি। সেই কারণে সঠিক প্রার্থী নির্বাচনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দলীয় হাইকমান্ডও মনোনয়ন দিতে যাচ্ছেন এমন প্রার্থীকে, যিনি জিততে পারবেন এবং গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে উঠতে পারেন।
মনোনয়ন নিয়ে এখনো চূড়ান্ত ঘোষণা না এলেও, মাঠের পরিস্থিতি বলছে—যশোর-৫ আসনে এডভোকেট শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেনই হতে পারেন বিএনপির প্রার্থী।