আসিফ সেতু,আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইসরায়েলের জেরুজালেম অঞ্চলে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অগ্নিকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আগুনের তীব্রতা এবং বিস্তারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ কর্তৃপক্ষ।
জেরুজালেম বিভাগের ফায়ার কমান্ডার সুমিলিক ফ্রিডম্যান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, “আমরা একটি বিশাল দাবানলের মধ্যে রয়েছি। এটি সম্ভবত ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ড। আগুন নিয়ন্ত্রণে এখনও অনেক পথ বাকি।”
দাবানলের সূত্রপাত হয় মেসিলাত জিওন এলাকায় সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে, যা প্রবল বাতাসের কারণে দ্রুত বিস্তার লাভ করে। রাতের দিকে ৯০ থেকে ১০০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে বাতাস বইতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
তবে দাবানলের উৎপত্তি কীভাবে হলো তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দেশটির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা ‘শিন বেত’। ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগানোর সন্দেহে তদন্ত চলছে এবং কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না তা জানতে পুলিশকে সহায়তা করছে সংস্থাটি।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইসরায়েল ইতোমধ্যে গ্রিস, সাইপ্রাস, ক্রোয়েশিয়া, ইতালি ও বুলগেরিয়ার কাছে সহায়তা চেয়েছে। গ্রিস ও ইতালি তাদের অগ্নিনির্বাপক বিমান পাঠিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি, ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন কর্তৃপক্ষও ফায়ার সার্ভিস সদস্য পাঠিয়ে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।