নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
যশোর প্রধান ডাকঘরের (পোস্ট অফিস) একটি নির্মাণাধীন কক্ষে থেকে নাইটগার্ড রবিউল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি মাগুরার মোহম্মদপুর উপজেলার ধুয়াইল গ্রামের বাসিন্দা এবং আকবর আলীর ছেলে। ঘটনার সময় তিনি রাতের ডিউটিতে ছিলেন।
সকালে সহকর্মীরা তাকে ডাকঘরের পেছনের নির্মাণাধীন ভবনের নিচতলার একটি কক্ষে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।
রবিউলের শ্যালক শামীম জানান, দুই মাস আগে বদলির কারণে যশোরে আসেন রবিউল। পরিবার—স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে—মাগুরাতেই অবস্থান করছেন। হঠাৎ এমন মৃত্যুর কারণ বুঝে উঠতে পারছেন না বলেও জানান তিনি।
ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল কার্যালয়ের সুপার মনিরুল আল নূর জানান, নাইটগার্ড হিসেবে রবিউল নিয়মিত দায়িত্ব পালন করতেন। সহকর্মীদের কাছ থেকেই মরদেহ উদ্ধারের তথ্য পান তারা এবং সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মরদেহের গলায় দড়ির চিহ্ন ছিল, ধারণা করা হচ্ছে তিনি ফাঁস দিয়েছেন। তবে ব্যবহৃত রশিটি পাতলা হওয়ায় সেটি ছিঁড়ে গেছে এবং তার মাথায় আঘাত লেগেছে বলে মনে করছেন অনেকে।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এটি আত্মহত্যা, না কি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড—তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত জানিয়েছেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডাকঘরের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে।