নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের লাউকুন্ডা মাদ্রাসার চারটি পুরনো মেহগনি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। অভিযোগ উঠেছে, গোপনে এসব মূল্যবান গাছ বিক্রি করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দপ্তরের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসা চত্বরে থাকা গাছগুলো সম্প্রতি কেটে বিক্রি করা হয়। এ প্রসঙ্গে মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক মাওলানা মোশাররফ হোসেন দাবি করেন, “ভবন নির্মাণের প্রয়োজনেই গাছ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং মৌখিকভাবে প্রশাসনিক অনুমতি নেওয়া হয়েছিল।”
তবে এই বক্তব্যকে সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করেছেন মনিরামপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়াজ মাখদুম। তিনি বলেন, “আমি কোনো ধরনের মৌখিক বা লিখিত অনুমতি দিইনি। যদি কেউ এমন কিছু বলে থাকে, তাদের লিখিত প্রমাণ দেখানোর আহ্বান জানাচ্ছি।”
মাদ্রাসার বর্তমান প্রধান শিক্ষক মাওলানা হাফিজুর রহমান বলেন, “গাছ কাটার বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। বিষয়টি সম্পূর্ণ অজানা আমার কাছে।”
এছাড়া ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমার জানা মতে, এই গাছ কাটার পেছনে কোনও বৈধ অনুমতি ছিল না। তবে উপর মহলের কোনও নির্দেশনা থাকলে সেটি আলাদা বিষয়।”
গাছের ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তিনি সঠিক দাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে জানান, “চারটি গাছ ২ লাখ ২০ হাজার টাকায় কেনা হয়েছে।”
এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এটি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্পদ। এভাবে গোপনে বিক্রি করা অনৈতিক এবং দুর্নীতির শামিল। কোনো টেন্ডার হয়নি, জনগণকে কিছু জানানো হয়নি—এটি সুস্পষ্ট অনিয়ম।”
সচেতন মহলের মতে, ঘটনার পেছনে কারা জড়িত তা নির্ধারণে নিরপেক্ষ তদন্ত জরুরি। পাশাপাশি, প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে যদি কেউ বেআইনিভাবে গাছ বিক্রি করে থাকে, তবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।