নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
যশোরের রাজারহাট চামড়ার বড় মোকামে ঈদুল আজহার পর অনুষ্ঠিত প্রথম হাটে এবার ব্যবসা বেশ কমই জমেছে। মঙ্গলবার সকালে শুরু হওয়া হাটে চামড়ার সরবরাহ ছিল কম, যার কারণে বেচাকেনাও খুব কম হয়েছে। সরকারি নির্ধারিত দামেও বাজারে চামড়া বিক্রি হয়নি, ফলে প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
সকাল ছয়টা থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু ও ছাগলের চামড়া নিয়ে ব্যবসায়ীরা হাটে আসেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সরবরাহ কম থাকার কারণে সকাল দশটার মধ্যেই বেচাকেনার শেষ হয়েছে। সাধারণত ঈদের পরের প্রথম হাটে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রেতাবিক্রেতাদের ভিড় লেগে থাকে।
রাজারহাট চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আকিল আহমেদ জানান, প্রথম দিনে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী শুধু বাজার পর্যবেক্ষণ করতে এসেছেন। আজ মূলত নিম্নমানের চামড়া বিক্রি হয়েছে। গরুর চামড়া ছিল ৩০ থেকে ৩৫ হাজার এবং ছাগলের চামড়া প্রায় ৩০ হাজার। লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩৫ লাখ টাকার মতো, যা গতবার কয়েক কোটি টাকার মতো ছিল।
সরকার ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করলেও রাজারহাটের বাজারে দাম তার তুলনায় অনেক কম। গরুর চামড়া ফুট হিসেবে না বিক্রি হয়ে, ২০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হয়েছে। কেশবপুর থেকে আসা ব্যবসায়ী মহাদেব দাস জানান, সরকারি নির্ধারিত দাম থেকে অনেক কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে, যদিও কিনতে বেশি খরচ হয়েছে। ছাগলের চামড়া মাঠ থেকে ১০ থেকে ২০ টাকা দরে কেনা হলেও সংরক্ষণে অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। গরুর চামড়ায়ও লোকসান হয়েছে।
অন্যদিকে, পাইকারি ব্যবসায়ী মাজেদ শেখ বলেন, তার দৃষ্টিতে এবার চামড়ার দাম একটু বেশি ছিল। তিনি ১১০টি গরুর চামড়া ৫০০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে কিনেছেন, ভালো মানের বড় গরুর চামড়া ১,১০০ টাকাও দামে উঠেছে।
চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম থেকে ব্যাপক ক্রেতারা প্রথম দিনে আসেননি, যার কারণে সরবরাহ ও দাম কম ছিল। আগামী শনিবারের হাটে বেশি সরবরাহ আসার আশায় তারা রয়েছেন, যা দাম বাড়ানোর পাশাপাশি বেচাকেনাও জমজমাট করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।