স্টাফ রিপোর্টার মনিরামপুর:
যশোরের মনিরামপুরে আবাসিক হোটেলে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চার যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) গভীর রাতে পৌর এলাকার গরুহাট মোড়ে অবস্থিত ‘রজনী নিবাস’ হোটেলের দ্বিতীয় তলায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে খেলনা পিস্তল, ধারালো ছুরি ও বিদেশি মদের বোতল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খানের নেতৃত্বে রাত ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের সময় হোটেল মালিক গাউসুল মোস্তাকের ছেলে ও কথিত মাদক ব্যবসায়ী ফয়সাল হুমায়ুন কৌশলে পালিয়ে যায়।
আটক চার যুবক হলো—মনিরামপুর পৌরসভার গাংড়া এলাকার আলম খান, দুর্গাপুর গ্রামের টুটুল, কদমবাড়িয়ার সাইফুল ইসলাম এবং খেদাপাড়ার আবু সিনহা। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এক যুবক খেলনা নাইন এমএম পিস্তল দিয়ে পুলিশের দিকে তাক করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। পরে চারজনকেই আটক করা হয়।
অভিযানে উদ্ধার করা হয় খেলনা পিস্তল, একটি ধারালো ছুরি এবং কয়েকটি বিদেশি মদের বোতল। পুলিশের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ‘রজনী নিবাস’ হোটেলের দ্বিতীয় তলায় অসামাজিক কার্যকলাপ এবং মাদকসেবীদের আড্ডা চলছিল। এসব কার্যক্রমে হোটেল মালিকের ছেলে ফয়সাল হুমায়ুনের সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন সম্প্রতি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ বিষয়ে অভিযোগ উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, “সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত মনিরামপুর গড়তে দল সব ধরনের সহযোগিতা করবে। সন্ত্রাসীদের কোনো স্থান বিএনপিতে নেই।”
এ বিষয়ে হোটেল মালিক গাউসুল মোস্তাক বলেন, “আমার ছেলে একসময় মাদকসেবী ছিল, তবে এখন সে ভালো আছে।”
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, “আমরা প্রশাসনের কাছে বারবার বলেছি—দলমত নির্বিশেষে যেই অপরাধী হোক, তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
আটক চার যুবককে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। হোটেল পরিচালনাকারী ফয়সালের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।