 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    
নিজেস্ব প্রতিবেদক:
যশোরে পুলিশ পরিচয়ে সংঘটিত স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় আরও চারজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে একজন রয়েছেন সাতক্ষীরার দেবহাটা থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল রায়হানুল হক। তিনি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি আদালতে স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা জেলা পুলিশও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ জুলাই যশোর থেকে স্বর্ণ নিয়ে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীর স্বজন ও কর্মচারী। রাজারহাট এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের গাড়ি থামায়। পরে হাতকড়া পরিয়ে ও চোখ বেঁধে প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় সাতক্ষীরার ব্যবসায়ী সুধীর কুমার কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
পুলিশের তদন্তে ইতোমধ্যে নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত স্বর্ণের অংশবিশেষ, হাতকড়া, ওয়াকিটকি, কসটেপ ও ব্যবহৃত প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়েছে। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানা গেছে, পুলিশ সদস্য রায়হানুল হক ও তার সহযোগী মাহিন রহমান শাওন ডাকাতির সময় সরাসরি উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে, স্থানীয় দুই জুয়েলারি ব্যবসায়ী ডাকাতদের তথ্য সরবরাহ করেছিলেন।

তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মামলার বেশিরভাগ রহস্য উদঘাটন হয়েছে এবং একটি চার্জশিট প্রস্তুতির কাজ চলছে। তবে মূল পরিকল্পনাকারীদের একজন এখনো আত্মগোপনে রয়েছে।
যশোর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আবুল বাশার বলেন, “অপরাধী যেই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।” সাতক্ষীরা জেলা পুলিশও জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত কনস্টেবলকে অপরাধী হিসেবেই বিবেচনা করা হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।