ডেস্ক রিপোর্টঃ
রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় প্রকাশ্য রাস্তায় এক যুবককে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা ঘটে বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে। ঘটনাস্থল ছিল মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেট সংলগ্ন রজনী ঘোষ লেন।
ঘটনার একটি ভয়াবহ ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের ভেতরে প্রথমে মারধর করা হয় ভুক্তভোগী সোহাগকে। এরপর তাকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে এনে আরও নির্যাতন চালানো হয়, যা পরিণত হয় একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোহাগ তার পরিবারসহ কেরানীগঞ্জে বসবাস করতেন। তিনি ও অভিযুক্তদের অতীতে একটি রাজনৈতিক সংগঠনের (যুবদল) সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছিল। স্থানীয়রা মনে করছেন, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকেই এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।
ঘটনার পরপরই কোতোয়ালি থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সোহাগের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, নিহত সোহাগের বড় বোন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তদন্তের অংশ হিসেবে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযান চালিয়ে মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিন (২২) নামের দুই আসামিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া র্যাব আরও দুজনকে আটক করেছে, যারা এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ডিসি তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলছে।