নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটা থেকে এ অভিযান পরিচালনা করেন যশোর দুদকের সহকারী পরিচালক (এডি) মোহাম্মদ আল-আমিন।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার হাবিবা সিদ্দীকা ফোয়ারা, দুদকের ডিডিএডি মোহাম্মদ তহিদুল ইসলাম, ডিডিএডি চিরঞ্জিব নিয়োগীসহ আরও অনেকে।
খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ
অভিযানে হাসপাতালের রান্নাঘর পরিদর্শনে খাদ্যের মান ও পরিমাণে অনিয়ম ধরা পড়ে। অভিযোগ ওঠে—
২০০ গ্রাম ভাত দেওয়ার কথা থাকলেও কম দেওয়া হচ্ছে
সকালের পাউরুটির পরিমাণ সঠিক নয়
খাবারের লবণ, পেঁয়াজ ও রসুন নিম্নমানের
চিকন চালের পরিবর্তে মোটা চাল ব্যবহার করা হচ্ছে
নিম্নমানের ডাল সরবরাহ করা হচ্ছে
ডায়রিয়া ওয়ার্ডে অনিয়ম
ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে দুদক কর্মকর্তারা দেখতে পান—১৬০ পিস স্যালাইন মজুদ থাকা সত্ত্বেও রোগীদের বাইরে থেকে স্যালাইন কিনতে বলা হচ্ছে। ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র নার্স জানান, এ নির্দেশনা ‘উপর থেকে’ এসেছে। পরে দুদক ওই নার্সকে শোকজ করার নির্দেশনা দিতে বলেন।
প্লাস্টার রুমে ভুয়া কর্মী
প্লাস্টার রুমে অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, সেখানে কর্মরত ব্যক্তিরা হাসপাতালের কার্ডধারী নন। তারা রোগীদের প্লাস্টার করে ১০০, ২০০ কিংবা ৫০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় দুদক।
তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশনা
অভিযান শেষে দুদক দল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হোসাইন শাফায়াতের কার্যালয়ে গিয়ে সব অনিয়ম তুলে ধরে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানায়।