1. live@www.jashorejournal.com : jashorejournal.com : jashorejournal.com
  2. info@www.jashorejournal.com : jashorejournal.com :
শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
যশোরের আওয়ামী লীগ নেতা শাহারুল ইসলাম ঢাকায় জনতার হাতে আটক যশোরে যুবলীগের ব্যানার তৈরির ঘটনায় মামলা, আটক দুইজন কলা ঘুষ কেলেঙ্কারি: যশোর জেলা পরিষদের কর্মকর্তা বদলি যশোরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে রেক্টিফাইড স্পিরিটসহ একজন গ্রেফতার অসুস্থ বাবার জমি নিজের নামে দলিল করে নিলেন ছেলে, নামজারি স্থগিতের আবেদন বাঘারপাড়ায় পরিশ্রমী যুবক শামীমের সর্বনাশ যশোরে “দৈনিক যশোর বার্তা,র সম্পাদককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন সারাদেশে পুলিশের টহল ও নজরদারি বৃদ্ধি ফরিদপুরে ভেজাল মাংস বিক্রির দায়ে ব্যবসায়ীকে জরিমানা ও কারাদণ্ড যশোরে ভৈরবপাড় দখলমুক্তে প্রশাসনের যৌথ অভিযান

ঋণের দায়ে মাকে নিয়ে গোয়াল ঘরে বসবাস

আসিফ সেতু
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"curves":1,"transform":2,"adjust":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

যশোর প্রতিনিধি :

মানবিকতার সীমাহীন এক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে যশোর সদর উপজেলার ইছালী গ্রামের হতভাগা এক মা-ছেলের জীবন। ঋণের দায়ে বাড়িঘর হারিয়ে তারা এখন আশ্রয় নিয়েছেন একটি গোয়াল ঘরে। ঝড়-বৃষ্টি, শীত-গরম—সব প্রতিকূলতা সঙ্গী করে চলছে তাদের টিকে থাকার লড়াই।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের নাহিদ হোসেন নামে এক যুবক ২০২৩ সালে স্থানীয় আব্দুল মাজেদ নামে এক মহাজনের কাছ থেকে প্রায় ৬ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন। কিন্তু প্রকৃতিক দুর্যোগ ও টানা বৃষ্টিতে পুকুরের সমস্ত মাছ ভেসে যায়। এতে নাহিদ ব্যবসায়িকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েন।

এরপর মা অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার খরচ জোগাতে আরও ৫ লাখ টাকা ঋণ নেন নাহিদের পরিবার। ঋণ নেয়ার সময় প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা সুদ দেয়ার শর্ত ছিল। কিন্তু ব্যবসায় লোকসান ও অসুস্থতার কারণে তারা সেই সুদের টাকা পরিশোধ করতে পারেননি।

সম্প্রতি মা ও বাবা দুজনেই অসুস্থ হয়ে পড়লে নাহিদ বাধ্য হয়ে আরও ৪ লাখ টাকা জমি বন্ধক রেখে ঋণ নেন। ফলে ক্রমে ঋণের বোঝা বেড়ে গেলে একপর্যায়ে বসতভিটা বিক্রি করে দেন তারা। এখন মা-ছেলেসহ পরিবারটি আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশীর দয়া করে একটি জরাজীর্ণ গোয়াল ঘরে।

সেখানে একটি পুরনো খাট, কিছু বালতি ও ছেঁড়া কাপড়ই তাদের একমাত্র সম্পদ। অসুস্থ মা বিছানায় পড়ে আছেন, আর ছেলেটি প্রতিদিন কাজের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এছাড়াও নাহিদ বিভিন্ন সময় গ্রামের বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কমপক্ষে ২০/২২ লাখ টাকা ধার করে বিভিন্ন ব্যাবসা করতে যেয়ে ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, ‘ছেলেটা খুব ভদ্র। মাকে বাঁচাতে সর্বস্ব হারিয়েছে। এখন ওদের পাশে কেউ নেই।’

এ অবস্থায় এলাকাবাসীর দাবি, সরকারি বা বেসরকারি সাহায্যের মাধ্যমে যেন এই মা-ছেলের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়। মানবিক কারণে সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসেন, তবে হয়তো তারা আবারও মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে পারেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার যশোর জার্নাল এ সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।

ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট